অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারণের প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এখনো ব্যাপক মত পার্থক্য রয়েছে এবং আলোচনা অচলাবস্থায় পড়েছে।
গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণের প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬৫ ডলার নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কিন্তু এ প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে সদস্য দেশগুলো বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে তারা এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দিয়েছে কিন্তু যেসব দেশ মস্কোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন সংকট সমাধানের পক্ষে তারা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, পোল্যান্ড এবং বাল্টিক প্রজাতন্ত্রগুলো প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬৫ ডলার করাকে রাশিয়ার প্রতি উদারতা দেখার শামিল বলে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার জাহাজ চলাচল শিল্পের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ গ্রিস ও মাল্টা বলছে রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের কম হওয়া উচিত নয়।
এর আগে কিছু কিছু গণমাধ্যম খবর দিয়েছিল যে, রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ ডলার বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু গতকাল রোববার কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এই দাম ৬৫ থেকে ৭০ ডলার হবে।
এর আগে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি সেভেন রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো সেই দাম মূলত মেনে নেবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানিমন্ত্রীরা রাশিয়ার গ্যাসের দাম নির্ধারণের বিষয়েও আলাদা বৈঠকে মিলিত হয়েছে।
জি সেভেনের পক্ষ থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি দামে যদি কোনো দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি তাহলে সেই দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে জি সেভেন। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে তেলের এই দাম বাস্তবায়ন করা হবে।
Leave a Reply